শিরোনাম

রায়পুরে ৫ বছর ধরে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি বন্ধ !

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি। রমজানে দাম স্বাভাবিক রাখতে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চালু করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু এ উপজেলায় ৫ বছর ধরে এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। এ মহামারী করোনাভাইরাস ও রমজান মিলিয়ে বেশ চড়া ভোগ্যপণ্যের বাজার হলেও টিসিবির ডিলার থাকলেও এসব পণ্য কিনতে পারছেন না ভোক্তারা।স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে টিসিবি’র পণ্য বিক্রিয় শুরু করা হোক।

তবে ডিলাররা বলছেন, তারা টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী। কিন্তু জেলার মধ্যে কোনো ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট না থাকায় এই পণ্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকে করে আনতে হয়। এতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয় তাদের। এর ফলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। এ ছাড়া পণ্য ওজনেও কম পাওয়া যায়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ করেন ডিলাররা।

জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য রায়পুর উপজেলায় পৌর শহরের দিদার স্টোরের মালিক দিদার হোসেন দেলু এবং ফারুক স্টোরের মালিক মো. ফারুক হোসেনকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। তারা প্রায় ৫ বছর ধরে কোনো পণ্য উত্তোলন করছে না। এরই মধ্যে তাদের ডিলারশিপের মেয়াদ শেষ হয়েছে। যা এখনো নবায়ন করা হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের এ উদ্যোগ কাজে আসছে না। টিসিবির পণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, চিনি, খেজুর, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।

ডিলার দিদার হোসেন দেলু বলেন,লক্ষ্মীপুর জেলা ও পাশের জেলাতেও টিসিবির কোনো ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার না থাকায় কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকে করে পণ্য এনে লাভ তো হয়ই না বরং লোকসান গুনতে হয়। পণ্যে কেজিতে চার টাকা কমিশন দেয়; দূর থেকে মালামাল আনতে গিয়ে প্রতি মালা-মালেই ঘাটতি হয়। ৫০ কেজির চিনির বস্তা গলে হয় ৪ কেজি। তাই ওই সব পণ্যে লাভ করতে হলে অসদুপায় অবলম্বন করতে হবে। এতে পুলিশের হাতে আটক হলে সব সম্মান নষ্ট হবে। আমাদের মানসম্মান আছে। তাই আমরা বিক্রি করছি না।

যোগাযোগ করলে টিসিবির কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ডিলার নিয়োগ ও বাতিল প্রক্রিয়া টিসিবির ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে হয়ে থাকে। কুমিল্লা কার্যালয় থেকে শুধু ডিলারদের পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। রায়পুরের কোনো ডিলারই পণ্য নিতে আসেন না। এর মধ্যে চেম্বার অব কমার্স তাদের লাইসেন্স নবায়ন করে পণ্য তুলতে বেশ কয়েক বার চিঠি দেয়া হযেছে।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিষয়ে আমাদের কাছে তেমন কোন তথ্য নেই। কিন্তু তারা কেন পণ্য বিক্রি এখনো করছে না তা আমরা খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডিলাররা লাইসেন্স নবায়ন ও পণ্য উত্তোলনের ব্যবস্থা না করে তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন :