নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কর্তৃক গত ১৩ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলা লকডাউন ঘোষনা করে। জেলা প্রশাসক কর্তৃক সামাজিক দূরত্ব কথা থাকলে মফস্বলে মানছে না কেউ। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড কুতুবপুর গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ১০০ থেকে ১৫০ জন বিএনপি জামায়াত শিবির নেতা কর্মী মিলে ইফতার করায় ঐ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম প্রতিবাদ করে।প্রতিবাদ করার পরিপেক্ষিতে স্থানীয় শিবির কর্মী, ছাত্রদলের ও যুবদল নেতা কর্মী যুবলীগ নেতা কাশেম কে অর্তকিত হামলা করে। এতে কাশেম গুরুতরে আহত হয়।
জানা যায় যে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা কর্মী আবদুল মান্নান (২৫), সায়েদুল হক (২৮),রাজু (২৫),অহিদ ব্যাপারী (৪৫) সহ আরো অনেকে এই হামলা চালায়।
স্থানীয় হারুনুর রশিদ বলেন ইফতারের পর কুতুবপুর করই গাছ তলে ২ পক্ষের কথা কাটাকাটি নিয়ে মারামারি সূত্রপাত হয়। আমারা স্থানীয়রা মিলে মারামারি নিয়ন্ত্রন করি।
ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন ইফতারের পর কাশেম কে জনসমাগম বিষয় প্রতিবাদ করার কারনে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং এক প্রকার অর্তকিত ভাবে কিল গুষি এবং লাথি মারা শুরু করে।
যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম বলেন আমি যখন আসরের নামাজের পর দেখি বহিরাগত মটর সাইকেল করে শুধু লোকজন আসতেছে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১৫০ জনের মত লোক আসছে ইফতার পার্টি করার জন্য। ইফতারের পর যুবদলের আবদুল মান্নান কে জিজ্ঞাসা করি এলাকাতে এত লোক সমাগমের কারনে সমস্যা হতে পারে। এতে করে সে আমার উপর চওড়া হয়ে আরো কিছু লোকজন কে একত্রিত করে মারধর করে।
ছাত্রদল নেতা রাজু বলেন আমারা বন্ধুবান্ধব মিলে ইফতার পার্টি করি। এটা কোন দলীয় প্রোগ্রাম ছিলো না। যুবলীগ নেতা কাসেম এসে আমাদের সাথে কথাকাটি করে এক পর্যায়ে মারামারি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মু্শু পাটোয়ারি সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায় যে আমি মারামারির ঘটনা বিষয়ে ফোনে জানতে পেরেছি, ইফতার পার্টি করার জন্য আমার সাথে কোন কথা বলে নাই। তবে লোক সমাগম করে ইফতার পার্টি করে আইন লঙ্গন করেছে আমি এর জন্য ব্যবস্থা নিবো।