আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে একের পর এক লোকজন। প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন সচেতনতার লক্ষ্যে যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচার প্রচারণা চালালেও অসচেতন লোকজনের কারণে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।
পুলিশের ভয়ে মাস্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন বাজার, শপিং মলে ও মেইন রোডে লোকজন চলাচল করলেও সামাজিক দূরত্ব অনেকেই বজায় রাখছে না। শাখা রোডেও বিপরীত চিত্র নজরে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে লোকজনের অবাধ চলাফেরা এখন নিত্তনৈমিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
ফলে, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছেই। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দোকান মালিক সমিতির অনুরোধক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির লাগাম টেনে নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মলগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দিলেও চট্টগ্রাম সহ অনেক স্থানে করোনা আতঙ্কে কতিপয় দোকান মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
যার কারণে তারা এখনো শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল, অনড় রয়েছেন। রেডিও এবং টিভিতে করোনায় আক্রান্ত লোকজনের সংখ্যা আর মৃত্যুর সংখ্যার খবর শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হাস্যকর হলেও সত্যি, ইতিপূর্বে একশ্রেণির লোক গোটা বাংলাদেশে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করেছে। সহজ সরল লোকজন অন্ধভক্তের মতোই করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে থানকুনি পাতার রস পান করেছে। আবার করোনা থেকে মুক্তির উপায়ের গুজব শুনে ফরিদপুরের অনেকেই ন্যাড়া হয়েছে।
কয়েকদিন পর শপিং মলগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় লোকজনের উপচে পড়া ভীড় থাকবে। এতে প্রাণঘাতী করোনা রোগীর সংখ্যা আরো অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন। এখনো সচেতন না হলে বাংলাদেশেরর অবস্থা কি রূপ হবে তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তোলেছে