শিরোনাম

প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”

প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে – দুই বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় ” আম্ফান ”
সারা দেশে প্রস্তুত ১২ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র : ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার প্রেক্ষাপটে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের জন্য ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে ,বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা দুর্যোগের সময়ে কাজ করছেন পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সহ রেডক্রিসেন্ট , স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিদেশী সংস্থাগুলো সরকারের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি আছেন খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, ঔষধ ,পানীয় জলের ব্যবস্থা এগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে ।

করোনা সংক্রমণের সময়, তাই প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসবেন তাঁদেরকেও স্যানিটেশন ও মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে”।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯শে মে শেষরাত থেকে ২০শে মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোন জেলার কী সংকেত:
৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, চট্টগ্রাম।

আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদসংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

সূত্রঃ ইন্টারনেট খবর:

নিউজটি শেয়ার করুন :