শিরোনাম

খুলনায় আরও ৯০ জনের করোনা শনাক্ত, উপসর্গে মৃত্যু ৫

 

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজের (পিসিআর) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৯০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের মধ্যে ৮৫ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিদের মধ্যে ৩ জন বাগেরহাট, নড়াইল ও সাতক্ষীরা জেলার একজন করে রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষা পর এ তথ্য জানা গেছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৭২টি। এদের মধ্যে মোট ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। যার ৮৫ জন খুলনার। বাকিদের মধ্যে বাগেরহাট জেলার ৩ জন, নড়াইল ও সাতক্ষীরা জেলার একজন করে রয়েছেন।

এদিকে খুলনার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উপসর্গ নিয়ে একজন শিক্ষকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন, খালিশপুরের বাসিন্দা খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মো: জান্নাতুল ফেরদৌস (৪০), খুলনা মহানগরীল বাগমারার সোহরাব শেখের ছেলে হারুন শেখ (৫৫), রায়েরমহল এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বাবু (৪৫), টুটপাড়া এলাকার মৃত মতিউর রহমান এর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬২) ও জোড়াগেট এলাকার মৃত হাফেজ আলীর ছেলে মো: সরোয়ার হোসেন (৫০)।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের ফোকাল পার্স ডা. মিজানুর রহমান জানান, খালিশপুর এলাকার ফেরদৌসকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে বুধবার দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে খুমেক হাসপাতালে করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রাত ১টা ৫মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

জ্বর, কাশির সমস্যা নিয়ে হারুন শেখ বুধবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবু মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউেিত রেফার্ড করা জয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ৩দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুজিবুর খুমেক হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ডা. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন :