আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, দেশে দুর্নীতির হরিলুট চলছে। কে কত দুর্নীতি করে দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে এবং দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলছে। কোভিড-১৯ টেস্টের নামে ভুয়া সনদ দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করীম এবং জেকেজি হেল্থ-এর ডা. রুবিনা আরিফ সহ সংশ্লিষ্টদের সীমাহীন দুর্নীতি প্রমাণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর কতটুকু দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা নিয়ে সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশে মোহাম্মদ সাহেদের ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তারা। গত ২১ মার্চ ওই সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ টক শো ছাড়া সাহেদকে কখনও দেখেননি বলে দাবি করেছে অধিদপ্তর। এছাড়া করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা জেকেজিকে অনুমোদন দেয়া প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, যদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য সঠিক হয়, তাহলে এধরণের কর্মকর্তাদের স্বপদে থাকার কোন এখতিয়ার নেই।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতির কারণেই স্বাস্থ্যের সর্বত্র দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়েছে। তা না হলে ৬ বছর ধরে অনুমোদনহীন হাসপাতালের সাথে কিভাবে চুক্তি হয়। দেশের স্বাস্থ্য খাতের সীমাহীন দুর্নীতির সর্বশেষ বহি:প্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতালের কোভিড-১৯ টেস্ট ও জেকেজি জালিয়াতি। র্যাবের প্রশংসনীয় অভিযানের ফলে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি ও সাহেদের দুর্নীতি এবং প্রতারণা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি জানতে চান, নমুনা পরীক্ষা না করেই কোভিড টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট বানিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ কারা করে দিলো?
পীর সাহেদ করিম ও তার মদদদাতাতের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।