ওলামা ডেস্ক: ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও রামগতি দৌলতখান নিরাপদ নৌ পথে যাত্রী সাধারণের সীমাহীন কষ্ট লাঘবে লক্ষ্মীপরের মজু চৌধুরী ঘাট ও ভোলার ইলিশা ঘাটকে “নদী বন্দর” হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামে বসবাসরত ভোলার জনসাধরণ। আজ (৩১ আগষ্ট’১৯ ইং) শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এতে ভোলা জেলা সমিতি, চট্টগ্রাম এর সভাপতি আলহাজ্ব জহুর আহমেদ সওদাগরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য ড. এম.মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ। সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কিরন শর্মা ও প্রকৌশলী মনোজ কুমার দে এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দ্বীপ জেলা ভোলায় রয়েছে দেশের বৃহত্তম শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড।
তাছাড়া এরই মধ্যে আরো দুইটি গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। এই জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৭টি উপজেলা, ৯টি থানা ও ৫টি পৌরসভা রয়েছে। পলিমাটির দেশ ভোলায় ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনের যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামালের জন্ম ভোলা জেলায়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাটের ও অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হলেও নৌ-পথে তেমন কোন উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়নি।
তারা বলেন, জেলার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলেও দেশের মূল ভূখন্ড এবং রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যোগাযোগের জন্য বিস্তৃত নৌ-পথ রয়েছে। নৌ-পথগুলোর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট হতে ভোলা ইলিশাঘাট। এ পথে ফেরী সার্ভিস এবং লঞ্চ ও সী ট্রাক দিয়ে মানুষ উত্তাল মেঘনার ঢেউয়ের মাঝে যাতায়াত করে থাকে। তারা আরো বলেন, নৌপথে শুধু মাত্র ভোলা-লক্ষ্মীপুরের মানুষ যাতায়াত করেনা।
দক্ষিণাঞ্চলে ১৭ জেলার মানুষ এ নৌপথে যাতায়াত করে থাকে কম দূরত্বের জন্য। তবে যাতায়াতে যাত্রী সাধারণের সীমাহীন ভোগান্তি। মজু চৌধুরী ঘাট থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত লঞ্চ,সী ট্রাক ও ফেরী চলাচলে প্রতিনিয়ত বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে চর জেগে উঠার কারণে। লঞ্চ ও সী ট্রাক টার্মিনালে সব সময় না আসার কারণে ছোট নৌকা কিংবা ট্রলারে করে মেঘনা নদীর মাঝখানে কিংবা চরে ভিড়ানো লঞ্চে যাত্রীদের গিয়ে উঠা-নামা করতে হয়।