শিরোনাম

লৌহজংয়ে পদ্মা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন

আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি : লৌহজং থানাধীন পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন ও বেলগেট মেশিন দিয়ে মাওয়া লৌহজং উপজেলা স্পর্শকাতর কুমারভোগ, শিমুলিয়া, হলদিয়া, লৌহজং – তেউটিয়া, বেজগাঁও এবং গাঁওদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল প্রকাশ‍্যে অবৈধভাবে বালু উওোলন করছেই। দেখার যেন কেউ নেই। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মানুষের বসতবাড়ি,স্কুল, মসজিদ, ফসলের জমি যে কোন সময় রাক্ষুসী পদ্মা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হবে যেতে পারে বলে সচেতন মহল আশংকা প্রকাশ করেছেন।

বালু উওোলন নিয়ে এলাকার চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনাব মো: সেন্টু শেখ , মো: বাবুল,নিপা বেগম, আখিঁ বেগম সহ আরও অনেকেই । নদী ভাঙনের শিকার বেজগাঁও ইউনিয়ন রুকি বেগম আর বাঁচতে চায় না। দুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ব‍্যক্তি জানান, লৌহজং থানার বালু উওোলনের সাথে সরাসরি অংশ নিচ্ছে নদী তীরবর্তী স্থানে ব‍্যাপক ভাঙনে আতংকিত হয়ে পড়েছে লোকজন ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ ঘনফুট বালু উওোলন করা হচ্ছে অবৈধ ভাবে। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে।

প্রকাশ‍্য দিবালোকে ড্রেজারে মেশিনে এবং বেলগেট উওোলন বালুর ব‍্যবসা চলছেই। ছোট -বড় ট্রাক ও অন‍্যান‍্য যানবাহনের চাপে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট ও ধুলা- বালুতে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। উওোলন কৃত বালু প্রতি ঘনফুট সরকারি বালুর মূল্য ১.২৬ পয়সা সে হিসেবে গড় দৈনিক ৪ লাখ ঘনফুট বালু অর্থাৎ দাম পাচ লাখ টাকার বালু উওোলন করা হয়।কেউ কিছু বলে না। বেজগাঁও এলাকাবাসী জানান, লিখে কি করবেন ? বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ ব‍্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিবেন কি?

নিউজটি শেয়ার করুন :