শিরোনাম

কমলনগরের চরকাদিরায় বিনামূল্যে সরকারী ঘর পেলেন ৬ পরিবার

আমানত উল্যাহ, রামগতি-কমলনগরঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে”জমি আছে ঘর নাই”প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের দেয়া গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর)এর আওতায় ২০২০-২১অর্থ বছরের অর্থ বরাদ্দে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান কাজ শেষ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান,দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর।

সরকারের দেওয়া প্রায় সকল বরাদ্দ কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই সুফলভোগীরা পেয়ে থেকেন এ ইউনিয়নে।যেখানে অন্যান্য জায়গায় এই সব ঘর বরাদ্দ নিতে ৪০/৫০ হাজার টাকার মতো ঘুষ দিয়েও অনেকে ঘর পাইনি। সেখানে চরকাদিরা ইউনিয়ন সম্পুর্ন ব্যতিক্রম। হয়রানি ও ঝামেলা চাড়াই এই ঘরগুলোর কাজ সম্পুর্ন করেন চেয়ারম্যান।
এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বিনা মূল্যে ঘর পাওয়া সুফলভোগীরা।

জানাযায়, চরকাদিরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মালেক ভান্ডারীর নামে ১ টি ঘর,৩নং ওয়ার্ডে হাবিব উল্লাহ,শিরিন আক্তারের নামে ১ টি করে ঘর, ৪ নং ওয়ার্ডে ইউছুফ ও কাশেমর নাম ১ টি করে ঘর,ও ৬ নং ওয়ার্ডে নিজাম উদ্দিনের নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের এই ৬টি পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে নতুন সেমি পাকা ঘর র্নিমাণ করে হস্তান্তরের অপেক্ষা রয়েছেন।
দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর র্নিমাণে ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

ঘর পেয়ে হাবিব উল্লাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সরকারের দেওয়া ঘর বিনামূল্যে পাইলাম।অথছ অন্যন্য জায়গায় ৪০/৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। আর আমাদের চেয়ারম্যান হুজুর বিনামুল্যে দিল। ঝড়বৃষ্টি যতোই হউক আর কোন সমস্যা নাই।

বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের অংশ হিসেবে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ টি ঘর নির্মান কাজ শেষ হয়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচির আওতায় দুযোর্গ সহনীয় গৃহনিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় এসব হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে বাছাই করে তালিকা চুড়ান্ত করেন চেয়ারম্যান। পরে ঘর র্নিমাণ কাজ শুরু করা হয়। ২১ ফুট বারান্দাসহ দুই কক্ষ, রান্না ঘর ও স্যানেটারী ল্যাট্রিন র্নিমাণ করতে পরিবার প্রতি বরাদ্দ দেয়া হয় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা।

স্হানীয়রা জানায়,চরকাদিরা ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দী ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা, গুচ্ছগ্রামের ঘর বন্টন,সহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিতে ঝামেলা পোহাতে হয়না। এবং সম্পুর্ন ঘুষ দুর্নীতি ছাড়াই সুফলভোগীদের নিকট সরকারের দেওয়া সকল বরাদ্দ বন্টন করেন চেয়ারম্যান। নিজে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রাপ্য লোকদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টন করেন। সরকারের দেওয়া সকল ত্রান সামগ্রী বিতরনে এক নজির স্হাপন করলেন এ চেয়ারম্যান।

মহামারী করোনা ভাইরাস কে কেন্দ্র করে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা(২৫ শত) টাকা সকল দলের সাথে সমন্নয় করে সঠিক লোকদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিজস্ব মোবাইল একাউন্টে টাকা পাওয়ার ব্যবস্তা করেন চেয়ারম্যান।

এখন আবার বিনামুল্যে পাওয়া ৬ টি ঘর বিতরন করে আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর।

চরকাদিরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন বলেন,এই ইউনিয়নের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ও সুষ্ঠু বিলি বন্টন হয়েছে এই চেয়ারম্যানের আমলে।এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ একজন সৎ ও যোগ্য চেয়ারম্যান। চরকাদিরার ইতিহাসে এমন চেয়ারম্যান পাওয়া সত্যই ভাগ্যের ব্যাপার।

স্হানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন শাহেদ হাওলাদার জানান,চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ ও বড় মাপের আলেম।তিনি নিজেও দুর্নীতি করেনা।অন্যদেরকে দুর্নীতি করতে দেয়না।তার সততার কারনে সকল বরাদ্দ প্রাপ্য ব্যক্তিরাই পান।১৭লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘর বিতরন তার একটি প্রমান। চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন তার ইউনিয়নে সকল প্রকল্পের কাজ তিনি শতভাগ আদায় করে ছাড়েন। কোন প্রকার দুর্নীতি অনিয়মের কোন সুযোগ এখানে নেই। সবধরনের বরাদ্দ যোগ্য ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন বলেন চরকাদিরা ইউনিয়নের ঘরগুলো বরাদ্দ দিতে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। চেয়ারম্যান সাহেব যাচাই বাচাই করে সমাজের একেবারে অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত প্রাপ্ত লোকদের কে ঘর গুলো দিয়েছে।গুনগত মান নির্ণয় করেই ঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে

নিউজটি শেয়ার করুন :