শিরোনাম

বউ নিয়ে বিপাকে ওসমান গণি

আ.সা.আবু তালেব ঃ “ভালবাসলেও সবার সাথে ঘর বাঁধা যায়না, হাজার বছর কাছে থাকলেও কেউ কেউ আপন হয়, কেউ হয়না ” গানের এই কলির সাথেই মিলে গেল  উপজেলাধীন মশদগাঁও গ্রামের মরহুম খবির হোসেনের ছেলে ওসমান গণির (৩৯) সংসার জীবনে। মেয়েদের মন আকাশের রং এর মতোই ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয় এখন ভাবছে সে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম নারীদের নিয়ে গবেষণা করে দূঃখ ভারাক্রান্ত হ্নদয়ে কবিতা লিখেছেন , বড়ই হিংস্র বড়ই নিষ্ঠুর নারীদের মন,ওরা একে পেয়ে খুশি হয় যাঁচে বহু জন।

বিয়ের পর ওসমান গণির বউ দুই মেয়ের গর্ভধারিনী মা রঙ্গিলা আক্তারই (৩১) জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা যায়, আজ থেকে দশ বছর পূর্বে ওসমান গণি বড় নওপাড়া গ্রামের লালু খানের অতি আদুরিনী কন্যা রঙ্গিলাকে বিয়ে করার পর থেকে সংসারে সুখের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। কনকসার বাজারে মুদীর দোকান থাকলেও বউয়ের চাহিদা মেটাতে তার আয়ের থেকে ব্যয় বেশী হচ্ছে বিধায় দোকানের বিক্রিত মালামাল ক্রয় করে পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে সে। এতে ওসমান গণি অনেক টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

তিন বছর পূর্বে চরমোনাই মাহফিলে গিয়ে তার জীবনের পরিবর্তন ঘটে। চরমোনাইর ফাল্গুনের ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরে এলে মুখে সুন্নতী দাড়ি, মাথায় পাগড়ি ও গায়ে সুন্নতী লেবাস দেখে তার বউ রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে। এর পর থেকেই দাড়ি কেঁটে ফেলার নির্দেশ দেয় সে ওসমানকে। ” তুমি বেজাড় হলেও আমার মাওলাকে বেজাড় করা যাবেনা ” ওসমান গণি তার বউকে সাফ সাফ এ কথা জানিয়ে দিলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। এর পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

গত ২৮ আগষ্ট বুধবার সন্ধ্যায় সে দোকান থেকে ঘরের উঠানে এসে দেখে দরজার খিল আটকানো। হ্নদয় কোণে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হতে থাকে। দিশেহারা হয়ে দরজার ছিদ্র দিয়ে উঁকি মেরে নিজ বউকে পর পুরুষের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পায়। দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলার সাথে সাথে দৌড়ে পালিয়ে  যায় বখাটে লোকটি। মান – ইজ্জতের কথা ভেবে ওসমান গণি নিজকে সংযত করে বার বার সতর্ক করে তার বউকে। এতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠলে বউকে শ্বশুড় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সে। শ্বশুড় বাড়ির লোকজন প্রভাবশালী হওয়াতে বউ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে ওসমান গণি। তার  মনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বর্তমান সরকারের কাছে তার প্রশ্ন ঃ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আছে ও তারা সরকারি ভাবে আইনী সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন নেই কেন? কোথায় সমান অধিকার?

নিউজটি শেয়ার করুন :